মরীচিকা

- আচ্ছা, তুমি ভালবাসো আমায়? - হুম বাসিই তো। - ভেবে বলছো? - সেভাবে ভাবিনি কখনো। তোমাকে তো ভালোবাসতেই হয়। তেমনটাই নিয়ম। - আর নিয়মের বাইরে ভালবেসেছো কখনো? - বলতে পারবোনা। - আচ্ছা তুমি স্বপ্ন দেখো? - জেগে? না ঘুমিয়ে? - জেগে কি স্বপ্ন দেখো?  - তোমায় বিয়ে করে নিয়ে এসেছি। একসাথে আছি। ঝগড়া করছি, আবার ভাব হচ্ছে। - হা হা। বেশ বললে তো! আচ্ছা আমি আসার পরে কখনো তোমার স্বপ্নে অন্য কেউ এসেছে? - নাহ। - সত্যি? নাকি মন রাখা কথা? - না, আসেনি। - আমার কিন্তু এসেছে জানো। সেই পুরনো স্বপ্নটা, ভীড় স্টেশনে হারিয়ে গেছি। একটা খুব চেনা হাত আমি আর খুঁজে পাচ্ছিনা। কোনো মুখ নেই তার। শুধু স্পর্শটা যেন বড্ড চেনা। গতকাল রাতেও স্বপ্নটা দেখে ঘুম ভেঙে গেছিলো।  - তাই? প্রায়ই এরকম স্বপ্ন আসে? আগে বলোনি তো? - তুমি আসার পরে স্বপ্নটা আর আসেনি। তাই বলার কথা মনে ছিলনা। তোমার থেকে আঘাত পাবার পরে আবার কাল ওই স্বপ্নটা... উফফ! - আমি কিন্তু ইচ্ছে করে তোমায়... আমি এরকমই, তুমি জানো। - জানি। - গতকালের কথা তুমি ভুলতে পারবেনা না? - ভুলতে আমার সাধারণের চেয়ে একটু বেশি সময় লাগে। তবে একবার ভুলে গেলে আমার আর কিছুই মনে থাকে না। - সময় ন...

তোমায় পাইনি বলেই কি আজো ভালবাসি ? তোমায় পাবো না জানি , তাই কি তোমার জন্য আজো বাসারা ইচ্ছে হয়ে বাসতে চায় ? সেদিন বিকেলের পড়ন্ত বেলার খন্ড একটা সূর্য তোমার মুখে রেখা এঁকেছিল সেই রেখার সুর ধরে আমি সারারাত বাজিয়েছি বাঁশী। আমার শরীরের প্রতিটা জলবিন্দু আজো তুমি হয়ে গড়াতে চায় আজো সমস্ত চুম্বন খুঁজে পায় তোমার ঠোঁটের স্বাদ ! মন আজো পেতে চায় স্টেশন টার খুব অচেনায় চেনা মুখ খুঁজে পাওয়ার আস্বাদ ! যাকে মুক্তো ভালবাসতে বেধেছিলে গণ্ডি   আজ দেখো সে তোমার ঝিনুকে বন্দী ! চলে আসার সময় শুধু জানতে চেয়েছিলাম কি চাও ? বললে , আরো খানিক ক্ষত দিয়ে যাও ! তোমার রঙ আজ আমার বুকে রক্তের মতোই রাঙুক , শুধু ভাঙা আর গড়া খেলার মধ্যে দিয়েই নাহয় ভালবাসা টা বেঁচে থাকুক । তোমায় পাবোনা বলেই তোমায় আজো ভালবেসে যাচ্ছি   পুরনো হলুদ চিঠিটার মতোই জীর্ণ আমি   তোমায় ছুঁয়েও না থাকার আবেশে মেতেছি !   তাই শেষ হলেও শেষ করতে পারিনি তুমি চলে গেছ জেনেও তাই রোজ রাতে নদীটার বুকে ...

নারী , তুমি কার ? প্রশ্ন করলাম বলে ভেবো না উত্তর দিতেই হবে তোমায় ! হাজার হাজার বছর ধরে তোমায় আসামীর মতো দাঁড় করানো হয়েছে কাঠগোড়ায় । অপরাধ না করেও উত্তর দিয়ে গেছ তুমি ... বা হয়তো , কখনো দোষ ঢেকেছো অন্যের ! আজ নাহয় তোমার হয়ে কটা প্রশ্ন করি তোমাকেই ? নারী , তুমি কার ? যার ঔরসে জন্ম তোমার , যার ছায়ার নীচে বড় হয়ে উঠতে চেয়েছ , তার ? নাকি যার গৃহিণী হয়ে সামলেছো সংসার , তার ? যাকে ধারণ করেছো তুমি , দুশো ছয়টা হাড় ভেঙে গুঁড়ো হবার যন্ত্রণা সহ্য করেও , যাকে নিশ্বাস নিতে শিখিয়েছো তুমি ! তোমার বহন করে আনা সেই অংশ , তবে কি তুমি তার ? বলো নারী , কার হয়ে বাঁচতে চাও তুমি ? মাইলের পর মাইল হেঁটে যার সংসারের জন্য জল তুলে নিয়ে আসো , তার ? যে পুরুষ মনে করে তোমার অধিকার শুধু রান্নাঘর আর আঁতুড়ঘর, তার? নাকি যে সমাজ তোমায় আজও দেয়নি শিক্ষার অধিকার, বুদ্ধির অধিকার, তার হয়ে বাঁচতে চাও তুমি? যে পিতা, তুমি নারী হবার অপরাধে তোমায় খুন করতে চায়, তোমার নাড়ি ছেঁড়া যে সম্পদ, শুধু তুমি অচল হয়ে যাওয়ায় ফেলে দেয় রাস্তায়! তার জন্যে? সেই পুরুষের হয়ে বাঁচবে তুমি ? বলো নারী , ...

-           এই যে শুনছেন !!! হ্যাঁ আপনাকেই বলছি ... -           আমি ? মানে আমাকে ? কেন ? -           কি ব্যাপার বলুন তো আপনার ? রোজই দেখি আমাকে ফলো করছেন । আমি যেখান থেকে বাসে উঠি সেখান থেকে ওঠেন , যেখানে নামি সেখানেই নামেন । সারাক্ষন বাসে আমার মুখের দিকে তাকিয়ে থাকেন । কি সমস্যা ? -           না ... মানে ... -           কি মানে ? তোতলাচ্ছেন কেন ? কিছু বলার থাকলে সরাসরি বলুন । একজন ভদ্রবাড়ির মেয়েকে এভাবে বিরক্ত করতে লজ্জা করেনা ? দেখে তো ভদ্রলোক বলেই মনে হয় ! -           না সত্যিই ... বিশ্বাস করুন ... আমি কিন্তু ... -           আরে থামুন মশাই ! আসলে ছেলেরা হয়ই এরকম বুঝলেন তো ! সুন্দরী মেয়ে দেখলেই ... -  ...